পটুয়াখালী থেকেঃ-এম.জাফরান হারুন
টাকার নেশায় একে একে ছয়টি বিয়ে করেছেন ত্রিশ বছর বয়সী নারী স্বপ্না শরিফ। বিয়ে করার পর নানান অজুহাতে আদালতে ওই সব স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি ।এভাবে অনেক টাকা কামিয়েছেন তিনি । লোভে পাপ পাপে মৃত্যু । যেমন সত্যি কথা তেমন কাজে শেষ রক্ষা হয়নি তার। অবশেষে পটুয়াখালী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব- ৮ এর হাতে ধরা পড়েছেন স্বপ্না শরিফ ।
রবিবার র্যাব-৮ এর সিপিসি-১ (পটুয়াখালী ক্যাম্প) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, পটুয়াখালীর গলাচিপায অভিযান চালিয়ে স্বপ্না শরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি একটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত স্বপ্না শরিফ প্রতারণার উদ্দেশে বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিয়ে করে কিছুদিন পরে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরের মাধ্যমে মোট অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন। এপর্যন্ত এভাবে তিনি অর্ধ ডজন বিয়ে করেছেন।
শুধু তাই নয়, ২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর স্বপ্না ও তার সহযোগীরা ভুয়া র্যাব পরিচয় দিয়ে টাঙ্গাইলের বোয়ালি মাদ্রাসার ছাত্র নাজমুলকে গ্রেপ্তারের নাটক সাজান। সেই ঘটনায় নাজমুলের বাবা মো. দলিল উদ্দীন বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে অভিযুক্ত স্বপ্না শরিফ গা ঢাকা দিলে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। তাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পটুয়াখালী র্যাব-৮ গলাচিপা থানার কামার হাওলা এলাকায় অভিযান চালায়। পরে স্বপ্নার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে গলাচিপা থানায় হস্তান্তর করে। স্বপ্না শরিফ ওই এলাকার চানমিয়া শরিফের মেয়ে।