ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ-মোঃ রায়হান আলী
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ১০ প্রাইভেট স্কুল ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ছাত্র ভর্তি করলেও ১৭ বছর ধরে পাঠদানের অনুমতি নেই। সরকারি ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ,উদয়ন একাডেমি ও মমতাজ-মোস্তফা আইডিয়াল স্কুলসহ এমপিও ভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি এখানে অনুরুপ আদলের ১০টি প্রাইভেট স্কুল রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ভাঙ্গুড়া মডেল স্কুল, প্রিজম স্কুল বিজ্ঞান স্কুল, পাবলিক স্কুল,ও অ্যাডভান্স স্কুলে মঙ্গলবার ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠান গুলোর রয়েছে নিজস্ব ইউনিফরম ও ব্যাচ,যা শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে। এছাড়া এখানে কিন্ডারগার্টেন পদ্ধতিতে লেখাপড়া,টিউটোরিয়াল ও নিয়মিত পরীক্ষা গ্রহন করা হয়। পড়ালেখা ও ফলাফল অর্জনে স্কুলগুলোর মধ্যে চলে তীব্র প্রতিযোগিতা। যে কারণে এ উপজেলায় শিক্ষার মান অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে প্রতি বছর এখান থেকে মেডিকেল,ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে।
কিন্তু পাঠদানের অনুমতি না থাকায় পাবলিক পরীক্ষায় এসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা অন্য স্কুলের নামে পরীক্ষায় অংশ নেয়। এতে করে তাদের নানা ভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়।
ভাঙ্গুড়া বিজ্ঞান স্কুলের পরিচালক জাহানারা খাতুন বলেন,‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভালমানের শিক্ষার্থী তৈরি করছি কিন্তু দুঃখের বিষয় পাঠদানের অনুমতি পাচ্ছি না।
ভাঙ্গুড়া মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেন বলেন,আমাদের স্কুলের নিজস্ব অবকাঠামো রয়েছে,ইআইআইএন নম্বরও আছে কিন্তু প্রয়োজনীয় জমি দিতে না পারায় পাঠদানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাচ্ছি না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল আলম বলেন,পড়ালেখার ক্ষেত্রে ওই বিদ্যালয় গুলোর ভুমিকা ইতিবাচক। তবে পাঠদানে অনুমতি না থাকায় তাদের সরকারি সহায়তা দেওয়া যাচ্ছে না।
তাই এসব বিদ্যালয়ের জন্য শিথিল শর্তে পাঠদানের অনুমতি দেওয়া হলে শিক্ষকদের যেমন স্থায়ী কর্মসংস্থান হবে তেমনি শিক্ষার্থীরাও নিজ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।